সারজেল কিসের ঔষধ
সারজেল ২০মি.গ্রা. ও ৪০মি.গ্রা.
ইসোমিপ্রাজল ইউএসপি
কার্যকারী উপাদান
সারজেল ২০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে আছে এন্টেরিক কোটেড পিলেট হিসাবে ইসোমিপ্রাজল ম্যাগেনসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি ২২.২৭ মি.গ্রা. যা ইসোমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
সারজেল ৪০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে আছে এন্টেরিক কোটেড পিলেট হিসাবে ইসোমিপ্রাজল ম্যাগেনসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি ৪৪.৫৪ মি.গ্রা. যা ইসোমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
প্যকেটের পরিমাণ
সারজেল ২০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে ১০×১০ টি ক্যাপসুল অ্যালু-অ্যালুরিস্টার প্যাকে।
সারজেল ৪০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে ৫x১০ টি ক্যাপসুল অ্যালু-অ্যালুব্লিস্টার প্যাকে।
সারজেল* ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে ৩x১০ টি ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালুব্লিস্টার প্যাকে।
সারজেপ ৪০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে ৩১০ টি ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালুব্লিস্টার প্যাকে।
সারজেপ* ২০ মি.গ্রা. স্যাশে: প্রতি বাক্সে ৩০ টি স্যাশে।
সকল প্রকার ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ইংরেজী অংশ দ্রষ্টব্য।
প্রতি পিসের দাম
সারজেল ২০মি.গ্রা. ১টি ক্যাপসুলের দাম মাত্র ৭ টাকা।এবং সারজেল ৪০ মি.গ্রা. ১টি ক্যাপসুলের দাম মাত্র ১০ টাকা।
বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন
ইসোমিপ্রাজল সুনির্দিষ্টভাবে গ্রাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষে অবস্থিত প্রোটন পাম্প প্রতিরোধক। এটি এনজাইমকে নিগ্রহ করার মাধ্যমে মাত্রা নির্ভর এসিড নিঃসরণ বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে।
রোগ নির্দেশনা
গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স রোগ, ইরোসিভ
ইসোফেগাইটিস রোগসমূহ নিমূলে নির্দেশিত। এছাড়াও
ডিওেডনাল আলসারে হ্যালিকোবেকটার পাইলোরী নিমূলে ইসোমিপ্রাজল ব্যবহৃত হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং জলিঞ্জার-ইলিশন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও প্রয়োগবিধি
ইসোমিপ্রাজল খাওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে সেবন করা উচিত। রোগের ধরণ অনুযায়ী সুপারিশকৃত মাত্রা ও প্রয়োগ নিম্নরূপ:
• ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস ২০/৪০ মি.গ্রা. হিসেবে দৈনিক ১ বার করে ৪-৮ সপ্তাহ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৪-৮ সপ্তাহেই রোগ নির্মূল সম্ভব। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৪-৮ সপ্তাহকাল চিকিংসার প্রয়োজন হতে পারে।
• ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস নিরাময় নিয়ন্ত্রণে ২০ মি. গ্রা. করে দৈনিক এক বার। ৬ মাসের অধিক সময়কালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
• লক্ষণ নির্ভর গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রোগ সমূহের ক্ষেত্রে ২০ মি. গ্রা. হিসেবে দৈনিক ১ বার করে ৪ সপ্তাহ।
• ডিওডেনাল আলসারে হ্যালিকোবেকটার পাইলোরী নির্মূলে ট্রিপল থেরাপী ইসোমিপ্রাজল
এমোক্সিসিলিন
দৈনিক ১ বার
১০ দিন
দৈনিক ২ বার
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন
দৈনিক ২ বার
৪০ মি:গ্রা:
১০০০ মি:গ্রা:
৫০০ মি:গ্রা:
১০ দিন।
• জলিঞ্জার ইলিশন সিনড্রোমে ইসোমিপ্রাজল ক্যাপসুলের দৈনিক একক প্রয়োগমাত্রা ২০-৮০ মি. গ্রা.। রোগীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রয়োগ মাত্রা নির্ধারণকরতে হবে এবং ক্লিনিক্যাল নির্দেশনা যতদিন থাকবে ততদিন চিকিৎসাচালিয়ে যেতে হবে।
ডিওডেনাল আলসারের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০ মি. গ্রা. হিসেবে ২-৪ সপ্তাহ।
• গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০-৪০ মি. গ্রা. হিসেবে ৪-৮ সপ্তাহ।
প্রতিনির্দেশনা
ইসোমিপ্রাজলের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার পরিহার করা উচিত।
সাবধানতা
ইসোমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক আলসারে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ম্যালিগন্যানসির সম্ভাব্যত যাচাই করে নিতে হবে। তা না হলে ইসোমিপ্রাজল রোগের লক্ষণ সমূহ ঢেকে দিয়ে রোগ নিরূপণে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মৃদ ও অস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথাব্যাথা,ডায়রিয়া,বমি বমি ভাব,তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি।
গর্ভবস্থায় ও স্তদানকালে ব্যবহার
গর্ভবস্থায় নিরাপদ ব্যবহারে কোন নির্দেশনা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে জীবজন্তুর উপর পরীক্ষা করে কোন বিকলাঙ্গজনিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। সেহেতু মাতৃদুগ্ধে ইসোমিপ্রাজলের নিসঃরণ ও সদ্যজাত শিশুদের উপর এর প্রভাবজনিত কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তাই ইসোমিপ্রাজল দিয়ে চিকিৎসাকালে স্তান্যদান সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।
সংরক্ষণ
শুস্ক স্থানে ৩০° সে: তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণ করুন। আলো এবং আদ্রতা থেকে দূরে রাখুন।
প্রস্তুতকারক
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
খুব ভালো লাগলো
ReplyDelete