Sergel Mups 20mg
Tablet
Esomeprazole Magnesium Trihydrate
Healthcare Pharmaceuticals Ltd.
ব্যবহার সমূহ ঃ-
গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসারের চিকিৎসায়।
কার্যকরী উপাদান ঃ-
সারজেল মাপস ট্যাবলেট ২০ মিগ্রাঃ প্রতিটি মাপস ট্যাবলেটে রয়েছে ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি সম্বলিত গ্যাস্ট্রো রেজিস্ট্যান্ট মাল্টিপল ইউনিট পিলেট সিস্টেম যা ইসোমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
সারজেল মাপস ট্যাবলেট ৪০ মি.গ্রা. ঃ প্রতিটি মাস ট্যাবলেটে রয়েছে ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি সম্বলিত গ্যাস্ট্রো রেজিস্ট্যান্ট মাল্টিপল ইউনিট পিলেট সিস্টেম যা ইসোমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ ঃ-
ইসোমিপ্রাজল সুনির্দিষ্টভাবে গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষে অবস্থিত প্রোটন পাম্প প্রতিরোধক। এটি এনজাইমকে নিগ্রহ করার মাধ্যমে মাত্রা নির্ভর এসিড নিঃসরণ বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে।
রোগ নির্দেশনা ঃ-
গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স রোগ, ইরোসিভ ইসোফেগাইটিস রোগসমূহ নির্মূলে নির্দেশিত। এছাড়াও ডিওডেনাল আলসারে হ্যালিকোবেক্টার পাইলোরী নির্মূলে (ট্রিপল থেরাপি) ইসোমিপ্রাজল ব্যবহৃত হয়। এসিড সম্পর্কিত ডিসপেপ্সিয়া, ডিওডেনাল অথবা গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং জলিঞ্জার-ইলিশন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও প্রয়োগবিধি ঃ-
ইসোমিপ্রাজল খাওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে সেবন করা উচিত। রোগের ধরণ অনুযায়ী সুপারিশকৃত মাত্রা ও প্রয়োগ নিম্নরূপ:
সারজেল® মাপস ট্যাবলেটটি এক গ্লাস পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। ট্যাবলেটটি চুষে অথবা কামড়ে খাওয়া উচিত নয়।
যদি রোগীর ওষুধ গিলে খেতে অসুবিধা হয় তাহলে ট্যাবলেটটি আধা গ্লাস পানিতে রাখুন। তারপর ট্যাবলেটটি গুলে যাওয়া পর্যন্ত পানি ঠিকমত নাড়ুন। মিশ্রনটি সাথে সাথে অথবা ৩০ মিনিট এর মধ্যে খেতে হবে।
● ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস নির্মূলে ২০/৪০ মি.গ্রা. হিসেবে দৈনিক ১ বার করে ৪-৮ সপ্তাহ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৪-৮সপ্তাহেই রোগ নির্মূল সম্ভব। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৪-৮ সপ্তাহকাল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
● ইরোসিভ ইসোফ্যাগাইটিস নিরাময় নিয়ন্ত্রণে ২০ মি.গ্রা. করেদৈনিক ১ বার। ৬ মাসের অধিক সময়কালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
● লক্ষণ নির্ভর গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রোগ সমুহের ক্ষেত্রে ২০ মি.গ্রা. হিসেবে দৈনিক ১ বার করে ৪ সপ্তাহ।
● ডিওডেনাল আলসারে হ্যালিকোবেকটার পাইলোরী নির্মূলে ট্রিপল থেরাপী
ইসোমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. দৈনিক ১ বার ১০ দিন
এমোক্সিসিলিন ১০০০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার ১০ দিন
ক্যারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার ১০ দিন
● জলিঞ্জার ইলিশন সিনড্রোমে ইসোমিপ্রাজল ক্যাপসুলের দৈনিক একক প্রয়োগ মাত্রা ২০-৮০ মি.গ্রা.। রোগীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রয়োগ মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে এবং ক্লিনিক্যাল নির্দেশনা যতদিন থাকবে ততদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
● ডিওডেনাল আলসারের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. হিসেবে ২-৪ সপ্তাহ।
● গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে দৈনিক ২০-৪০ মি.গ্রা. হিসেবে ৪-৮ সপ্তাহ।
প্রতিনির্দেশনা ঃ-
ইসোমিপ্রাজলের প্রতি অভিসংবেদনশীল রোগীর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার পরিহার করা উচিত।
সাবধানতা ঃ-
ইসোমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক আলসারে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ম্যালিগন্যান্সির সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তা না হলে ইসোমিপ্রাজল রোগের লক্ষণসমূহকে ঢেকে দিয়ে রোগ নিরূপণে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার ঃ-
গর্ভাবস্থায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধের সাথে ইসোমিপ্রাজল নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঃ-
মৃদু ও অস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।
মিথস্ক্রিয়া ঃ-
ইসোমিপ্রাজল ব্যবহারের সময় ফিনাইটোইন, ওয়ারফেরিন, কুইনিডিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, এমোক্সিসিলিন এর মিথস্ক্রিয়ার কোন প্রমাণ নাই। তবে ডায়াজিপামের সাথে ইসোমিপ্রাজল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডায়াজিপামের নিঃসরণ প্রক্রিয়া বিলম্ব হতে পারে। ইসোমিপ্রাজল কিটোকোনাজল, ডিগোক্সিন এবং লৌহ জাতীয় ওষুধের শোষণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্যাকেটে পরিমাণ ঃ-
সারজেল মাপস ট্যাবলেট ২০ মি.গ্রা. : প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ৫x১০ টি মাপ্স ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালু রিস্টার প্যাকে।
সারজেল মাপস ট্যাবলেট ৪০ মি.গ্রা. : প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ৩x১০ টি মাস ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালু রিস্টার প্যাকে।
দাম ঃ-
সারজেল মাপস ট্যাবলেট ২০ মি.গ্রা. প্রতি পিসের দাম 10.00 টাকা।
সারজেল মাপস ট্যাবলেট ৪০ মি.গ্রা. প্রতি পিসের দাম 14.00 টাকা।
সংরক্ষণ ঃ-
শুষ্ক স্থানে ২৫°সেঃ তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন ।
[ সকল প্রকার ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ]